Friday 1 June 2012

"আমি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলছি "

আপনি যদি সত্যি সৎ, নির্ভিক, ও প্রতিবাদী চরিত্রের হন, তাহলে আমার আপনাকে দরকার


আমি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলছি


আপনি যদি সত্যি সৎ, নির্ভিক, ও প্রতিবাদী চরিত্রের হন, তাহলে আমার আপনাকে দরকার








   সারা পৃথিবীজুড়ে চলছে গরিবের উপর ধনীদের অত্যাচার,উন্নত বিশ্বগুলো চালাচ্ছে উন্নয়ানশীল দেশগুলোর উপর বঞ্চনার স্টিম  রোলারপ্লেটের ভাত যারা কেড়ে নিচ্ছে,যারা সন্ত্রাসী দমনের নাম করে মেরে যাচ্ছে বেসামরিক মানুষ,যারা কেড়ে নিচ্ছে শিশুর ভবিষ্যত তারা আর যাই হোক কারো বন্ধু হতেই পারেনা
আমাদের মত উন্নয়ানশীল রাষ্ট্রগুলোর কোন ক্ষমতা নেই এই সকল অবিচারের প্রতিবাদ করার,নেই তাদের হুশিয়ারী করার মত পথ,নেই তাদের কোনভাবে আটকানোর রাস্তা
 
পৃথিবীর বহুদেশ আর হারিয়েছে নিজেদের অস্তিত,নেই মানচিত্রে তাদের নিজস্ব ভুমির আয়তন নেই ।যেখানে মাথার উপরে আকাশ হয় তাদের ছাদ,যেখানে মৃত পশুর পচাংশ হয় শিশুদের আহার
নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে দেখে নিজেকে যিনি ঠিক রাখতে পারলেন না,যিনি বসে গেলেন একাই বানাতে লেগে গেলেন এক নতুন কোডিং ট্যাগ,এক নতুন বোমা,এক নতুন স্বপ্ন,একটি নতুন আকাশ,একটি নতুন প্রহর


  জানেন তো সেই বোমার নাম কি ? জানেন তো সেই বোমা কার হাতেই তৈরী শুরু হয়েছে ?
না জানলে জেনে নিন সেই লড়াকু মানুষটির নাম- জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
তার তৈরী বোমার নাম- উইকিলিকস
বোমাটির কাজ - চাপা পড়া সত্য বের করে আনা
সেই কোডিং ট্যাগটি হচ্ছে - </war>
আপনি কোন দিন পারবেন না নিরীহ মানুষের হাসি ফিরিয়ে দিতে,পারবেন না যা তারা হারিয়েছে তা পুনরায় এনে দিতে,পারবেন না নবীনদের জন্য সুন্দরকরে পৃথিবী সাজাতে, আসলে অত্যাচারীরা আপনাকে দেবে না সেই সুযোগ
চারিদিক হতেই গরিব দেশগুলোকে ঘিরে রাখা হয়েছে, একটা কথা  মনে রাখবেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, যতই চিন কিংবা জার্মানী আমেরিকা কে বলুক না কেন যে,তোমরা অমুক দেশকে আক্রমন করলে আমরা তোমাদের ছাড়বো না,আসল কথা হচ্ছে বিশ্ব যুদ্ধ লাগলে ক্ষমাতাশীল দেশগুলোই একত্র হয়ে পৃথিবীর বাকি দেশগুলো ভাগ করে দখল করে নেবে।  


এক কথায় ক্ষমতাসীন দেশের থেকে আপনার আমার বাঁচার কোন রাস্তা নেই, সব স্থানেই তাদের হস্তক্ষেপ আছেই, আপনি আপনার দেশে একটা তেলের খনি পেলে তার ভাগ ও তাদের দিতে হবে, না হয় অল্প দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে হবে,অপারগতা জানালে আপনার দেশে ইন্টারন্যাশনাল সন্ত্রাসী আছে বলে ড্রোন কিংবা বিমান হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করবে। 


আপনার কাছে কোন অস্ত্র আছে?যা দিয়ে ন্যাটো কিংবা ক্ষমতাসীন বাহিনীর সাথে লড়বেন ? পারবেন কি নিজের শেষ সম্বল বাচাতে ?  পারবেন কি নিজের দেশের খনিজ সম্পদগুলো নিজেদের বলে দাবি করতে ?
কোথা থেকে পারবেন আপনি তো বড় কোন পারমানবিক পরীক্ষাও চালাতে পারবেন না,তাহলেই আপনার সাথে বানিজ্য বন্ধ
আমাদের মত উন্নয়ানশীল দেশুগুলো আজ থেকে ৫০ বছর পর যে অস্ত্র ব্যবহার করবে ক্ষমতাসীন দেশ তা আরো ১০ বছর আগে থেকেই ব্যবহার করছে।  আজ থেকে ২০ বছর পরে ব্যবহার করার জন্য ক্ষমতাসীন দেশরা পারমানবিক বোমা কিংবা উন্নত বিমান কিংবা রোবাট তৈরী করে প্যাকেট করে রেখে দিয়েছে
আমাদের কোন পথ নেই ? কোন উপায় নেই ? কেউ কি নেই নিরীহ মানুষের পাশে ? কে বলেছে কেউ নেই আছে একজন,যার হাত ধরেই দিন দিন বড় হচ্ছে উইকিলিকস এর আয়তন

পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি নিপিড়িত মানুষ,লাখ লাখ সেচ্চাসেবী,হাজার হাজার সাইবার অপরাধী আজ নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে অসহায় মানুষের জন্যতারা নানা ভাবে বড় করে তুলেছে উইকিলিকসকে,তারা বিশাল থেকে বিশালতর করছে উইকিলিকসের তথ্য ভান্ডারহয়ত শুনে থাকবেন ক্ষমতাসীন দেশের বাহিনীর একটি অফিসার(মেয়ে) উইকিলিকসের হয়ে কাজ করে তা সামনে ঘটে যাওয়া সবই রেকর্ড সহ দিয়েছে উইকিলিকসকে তার জীবন বিপন্ন হবে তা ভাবে নি,কারন সে দেখেছে কিভাবে  আমেরিকানরা উন্নয়ানশীল দেশের প্রতি অন্যায় অবিচার করেছে
ইরাকে কত সাধারন মানুষ হত্যা করেছে তার সঠিক হিসেব কারো জানা নেই, শুধুমাত্র খনিজ সম্পদের লোভেই এতটা জঘন্যতম কাজ
তাই আসুন নিজেরা একা যে অস্ত্র তৈরী করতে পারছি না, সবাই মিলে চলুন না সেই বোমাটি দিনে দিনে বড় করে তুলি, আরো বোমারু জোগাড় করি

 
নিচের লিংক হতে ভিডিও টি দেখুন:  http://youtu.be/kbOibFK2ZpU
এক নজরে উইকিলিকস:-
WikiLeaks
Commercial? - No, ইহা ননপ্রফিট
Type of site: Document archive & disclosure
Created by: Julian Assange
Launched: 4 October 2006
Current status: Active
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জে
জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ
জন্ম: ৩ জুলাই ১৯৭১
তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান কম্পিউটার প্রোগ্রামার
তিনি রাজনৈতিক / ইন্টারনেট কর্মী, প্রকাশক, এবং সাংবাদিক.
পুরস্কার :
 
ইকোনোমিষ্ট ফ্রিডম অবএক্সপ্রেশন এওয়ার্ড (২০০৮)
এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকেমিডিয়া পুরস্কার (২০০৯)
স্যাম এডাম্স পুরস্কার (২০১০)
লি মনডে,বছরের সেরা শৌখিন ব্যক্তি পুরস্কার(২০১০)
সিডনি শান্তি ফাউন্ডেশন স্বর্ণ পদক (২০১১)
মার্থা গেলহর্নপুরস্কার সাংবাদিকতা জন্য (২০১১)
অসামরিক জন্য ভিক্টোরিয়ান কাউন্সিল (২০১১) এর ভোল্টেয়ার পুরস্কার
সাংবাদিকতা থেকে বিশিষ্ট অবদান (২০১১) জন্য ওয়ালকিসপুরস্কার







  পরিপূর্ণ স্বচ্ছতার পক্ষে লড়াকু সাইবার-যোদ্ধা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে শেষ করে দিতেই আমেরিকান রা লেগেছে তার পিছে, ছাড়ছে না কোনমতে,তাইতো আজ থেকে ২ বছর আগে তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ,যেমন:যৌন অসদাচরণ


আমি হলপ করে বলতে পারি এটি মিথ্যা




দুই সাবেক ভক্ত তরুণীর দায়ের করা মামলায় সুইডিশ প্রসিকিউটর অফিস ২০১০ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেঅ্যাসাঞ্জ তখন লন্ডনে, ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়অ্যাসাঞ্জ লুকিয়ে থাকতে বেশ পারঙ্গমশেষে ইন্টারপোলের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়ান্টেড লিস্টেপ্রচার করা হয় তাঁর নাম: আন্তর্জাতিক হুলিয়াঅ্যাসাঞ্জ তখনো পলাতককারণ, তাঁর বিশ্বাস, যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আসলে অজুহাতসুইডিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে পেতে চায় আমেরিকার হাতে তুলে দিতেকারণ, আমেরিকানদের কাছে তিনি তত দিনে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তিইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের বর্বরতার প্রত্যক্ষ বিবরণ-সংবলিত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো ফিল্ড রিপোর্টআর সারা বিশ্বের মার্কিন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোর গোপন তারবার্তাসব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ গোপন নথিপত্রউইকিলিকসের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ফাঁস করে দিয়ে অ্যাসাঞ্জ পরিণত হয়েছেন আমেরিকার এক নম্বর শত্রুতেতাই, তাঁর ধারণা, আমেরিকা সুইডেনকে দিয়ে তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যাবে; মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি-সংক্রান্ত আইনের আওতায় বিচার করবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
এক কথায় এখন একমাত্র আন্দোলন,করেই নয় আমেরিকানদের উপর চাপ সৃষ্টি করা চাড়া আমাদের এই হিরোকে বাচানো সম্ভব নয়
২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জ তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের এক থানায় যান পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতেকিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এক ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেঅ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট নামঞ্জুর করেনতার পরের ১০ দিন অ্যাসাঞ্জকে কাটাতে হয় দাগি কয়েদির পোশাক পরে লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে১৭ ডিসেম্বর তাঁকে এমন শর্তে জামিন দেওয়া হয়, তিনি লন্ডনের আশপাশেই থাকবেন, প্রতিদিন নিকটস্থ থানায় সশরীরে গিয়ে খাতায় সই করে আসবেনতাঁর পায়ের গোড়ালিতে সব সময় বাঁধা থাকবে একটা ইলেকট্রনিক ট্যাগসেই থেকে আজ প্রায় ১৮ মাস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এক অদ্ভুত গৃহবন্দী, যাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে ব্রিটেন, সুইডেন ও আমেরিকাএমনকি তাঁর স্বদেশ অস্ট্রেলিয়ার সরকারও ওই তিনটি দেশের সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছে




কিভাবে অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস এই পরিচিত মুখ হয়েছেন ?






 
আফগানিস্তানে আফগান যুদ্ধের সূচি,আফগানিস্তানে যুদ্ধের পূর্বে প্রচার না হওয়া ৭৬,৯০০ নথির একটি সংকলন প্রকাশ করে
অক্টোবর ২০১০সালে-প্রায় ৪০০,০০০ নথির একটি প্যাকেজ সমন্বয়ে ইরাক যুদ্ধের একটি পরিপূর্ণ খসড়া প্রকাশ করে
এপ্রিল ২০১১সালে, আফগানিস্তানের৭৭৯ টি গোপন সম্পর্কিত,গুয়াতানামো শিবিরে আটক বন্দীদের ফাইল প্রকাশ করে হইচই এন দেয় এই অ্যাসাঞ্জ
তারপর থেকেই এক এক আরো কিছু দেশের গোপন নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস তাইতো পুথিবীর সকল প্রভাবশালী দেশগুলো আজ উইকিলিকস কে শেষ করতে লেগেছে



 চোখ রাখুন




http://en.wikipedia.org/wiki/WikiLeaks
 Baghdad War Diary
The Guantanamo Files
Kabul War Diary
US military units in Afghanistan - WikiLeaks
Secret report reveals how MEPs make millions - WikiLeaks


World Bank report on the Government of Kenya - WikiLeaks














আসুন উইকিলিকসকে সাহায্যে করি,উইকিলিকসয়ের জন্য সামান্য ডোনেট করি
আপনার বন্ধুকেও আহব্বান জানান উইকিলিকসয়ের ভলেনটিয়ার হতে,তবেই তো আসবে মুক্তি
ডোনেট করুন: www.shop.wikileaks.org/donate
সকল নথি পড়ুন: www.wikileaks.org/wiki/
ভিডিও দেখুন : www.collateralmurder.com/









তথ্য সুত্রঃ  ইন্টারনেট, গুগুল।

No comments:

Post a Comment